ঢাকা , শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আ’লীগ জিয়া পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত : রিজভী

মার্চ ১৫, ২০২৪
রাজনীতি
আ’লীগ জিয়া পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পরে ডামি সরকার নতুন দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত রয়েছে। আবারও তারা টার্গেট করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারকে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে বা কবজায় নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের গোলকধাঁধায় শুরু করেছে বানোয়াট প্রোপাগান্ডা।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের সফল নেতৃত্বের যে তরঙ্গ সারাদেশব্যাপী গণতন্ত্রকামী মানুষকে আন্দোলিত করেছে সেটি শেখ হাসিনা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না। অপপ্রচার আর মিথ্যার পুরোনো কাসুন্দি ব্যবহার করছেন নিরন্তরভাবে। নিজ দলের লুটপাট, সম্পদ পাচার, দখল, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আওয়ামী নেতাদের গল্প যে আলিফ লায়লার গল্পকেও হার মানাচ্ছে ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এই রমজানে ক্ষুধার্ত ক্ষুব্ধ মানুষের হাহাকারের ‘এসওএস বার্তা’ শেখ হাসিনা কি শুনতে পান?

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর তারা দেশ ও দেশের জনগণকে মহাসংকটে ফেলে একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। সেটি হলো, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা। আর তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে, উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে জীবন বিপন্ন করার পাশাপাশি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা রটিয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে বিস্ময়কর বিষয় হলো কিছু গণমাধ্যমের চৈতন্য লোপ পেয়েছে। সত্যাসত্য বিবেচনায় না এনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা না করে শুধু শেখ হাসিনার মনতুষ্টির জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করা যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে। গতকালও একটি দৈনিকের অনলাইনের এহেন রিপোর্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হুকুমে করা হয়েছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি যতই চিৎকার করেন, দেশবাসীর নিকট এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট। কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার ভাঙার কর্মসূচিতে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা ও সবধরনের অনুষ্ঠান বিদ্যমান রয়েছে। এসব অনুষ্ঠান ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ সাহেবদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে অথচ ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা ও হামলা এটা কি গভীর চক্রান্তের অংশ? মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে গেলে ওবায়দুল কাদের সাহেবদের গা-জ্বালা করার অর্থ কী? যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই তারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে এবং আলেম সমাজের ওপর নিপীড়ন নেমে আসে। এর কারণ প্রভুদের খুশি করা।