ঢাকা , বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২, ২০২৫

আনার হত্যা: পুলিশের যারা যাচ্ছেন ভারত

মে ২৫, ২০২৪
অপরাধ
আনার হত্যা: পুলিশের যারা যাচ্ছেন ভারত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনা তদন্তে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারা।

রবিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তিন কর্মকর্তা দেশটির পথে রওনা হবেন। এই তালিকায় আছেন- ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ, ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ ও ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান। শনিবার ডিএমপির একাধিক সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনার হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন একটি মামলা করে। সেই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ডিবি পুলিশ। আর ভারতে এই হত্যার ঘটনায় একটা মামলা হয়েছে। বর্তমানে সেটি তদন্ত করছে দেশটির সিআইডি পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি পক্ষ মামলার রহস্য উদঘাটন ও সরেজমিন তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা দেশটিতে যাচ্ছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার সদস্যের দল ঢাকায় আসে। এদিন বিকালে তারা ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে। পরে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে জেরা করে।

কলকাতার আলিসান অ্যাপার্টমেন্ট সঞ্জীবা গার্ডেনে গত ১৩ মে প্রবেশ করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। এর আগের দিন তিনি ভারত যান। ওই অ্যাপার্টমেন্টে যাবার সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন। জীবিত অবস্থায় আনার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করলেও তাকে আর বের হতে দেখা যায়নি। এ থেকে ধারণা করা হয়, তিনি আর বেঁচে নেই। ঘাতকরা তাকে হত্যা করে মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করেছে। পরে সেগুলো ট্রলি ব্যাগ আর পলিথিনে নিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায়। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তার একাধিক ব্যক্তির জবানে এসব তথ্য মিলেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, পুরো কিলিং মিশনে সবার সামনে ছিলেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ আমান। হত্যার পর হাত-পাসহ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করে হত্যাকারীরা। এতে মুম্বাইয়ের এই শীর্ষ কসাইকে ভাড়া করা হয়। তার নাম জিহাদ। এরইমধ্যে জিহাদকে আটক করে আদালতে তুলেছে দেশটির পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমাণ্ড পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সিআইডি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তারা জানান, এমপি আনারকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে তারা নিজেরাই আঁতকে উঠেছেন। তার পুলিশি ক্যারিয়ারে অনেক খুনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন, কিন্তু এত নৃশংস বর্ণনা কখনোই শোনেননি।

আনার ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তাকে খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একনারীসহ তিনজন গ্রেপ্তার আছেন। আর ঘটনার প্রধান মাস্টারমাইন্ড এমপি আনারের দীর্ঘদিনের পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। যদিও ঘটনার পর তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন।

এনডিটিভি/পিআর