ডেস্ক রিপোর্ট: আশুলিয়ায় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাক থামিয়ে ২১টি গরু ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৭টি গরু ও ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাইপাইল এলাকায় আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহীনুর কবির।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার বেলুটিয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার মো. তোফাজ্জল হোসেন ওরফে ভাঙ্গারী বাবু (২৮), একই এলাকার মো. কোরবান আলী (২৫), একই থানার দেওয়ান টাইটা এলাকার মো. আল আমিন শেখ (৩০) ও তারুটিয়া এলাকার মো. শহিদুল (৩৬), আশুলিয়ার কলতাসুতি বারল এলাকার মো. সজিব (২১) ও মো. শিবলু আহম্মেদ (২০)।
ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী মো. শহিদুল এনাম রাসেল চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের গরিয়াইশ এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ২৭ অক্টোবর রাজশাহীর সিটিহাট থেকে ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২১টি গরু কেনেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এরপর ট্রাকযোগে গরুগুলো নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। এরমধ্যে গাড়ি আশুলিয়ার চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের বলিভদ্র ফিনিক্স স্পিনিং মিলের সামনের সড়কে পৌঁছালে একটি নম্বরবিহীন নীল রংয়ের মিনি ট্রাক নিয়ে অজ্ঞাত ১৫/১৬ জন ডাকাত ভুক্তভোগীর গরুর ট্রাকের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাক থেকে চালক, হেলপার ও রাখালকে নামিয়ে নিজেদের ট্রাকে উঠিয়ে রশি ও গামছা দিয়ে তাদের চোখ বেঁধে ফেলে।
যদিও কৌশলে রাখাল পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ডাকাতরা গরু ভর্তি ট্রাক নিয়ে গাজীপুরের দিকে চলে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নম্বর-৭৯) করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তের মধ্য দিয়ে ছয় ডাকাত শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যে ডাকাতি করা ৭টি গরু, ট্রাক ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
এএসপি মো. শাহিনুর কবির বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানায়। তাদের দলের প্রধান পলাতক। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার ও গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এনডিটিভি/এলএ