নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
মাহমুদ হোসেন বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগে বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করে দুদক। আদালত শুনানি নিয়ে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সার্বিক অবস্থা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানার পর এসব ফ্ল্যাট দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেবেন আদালত।
পিপি মাহমুদ হোসেন জানান, পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে, কোন সম্পত্তি কোন সংস্থাকে দেখভালের আদেশ আদালত দিয়েছেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বলেন, গোপালগঞ্জে থাকা ২৮টি পুকুর দেখভালে জেলার মৎস্য কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখভালে জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুদক। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তাঁর পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) খুঁজে পেয়েছে। আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এনডিটিভিবিডি/০৬জুন/এএ