নিজেস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা জাতীয় দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ড কিংবা এসিড দগ্ধ রোগীদের সেবায় রাত-বিরাতে হাসপাতালে রোগীদের শয্যাপাশে ছুটে চলা পরিচিত মুখ ডাক্তার সামন্ত লাল সেন হচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বর্তমানে দেশের বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন। এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ডাক্তার সামন্ত লাল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যখাতে সামন্ত লালের অবদান অনেক। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে দূর্নীতিমুক্ত ও ঢেলে সাজাতে তাকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী করছেন এমনটাই আভাস পেয়েছেন দলীয় একাধিম সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকরা।
তিনি ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়া চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।
১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকায় বদলি হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন।
১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ৷ থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে জার্মানি ও ইংল্যান্ডে সার্জারিতে আরো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সেখানে সামন্ত লাল সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
(এনডিটিভি/১১ জানুয়ারি /এসএন)