নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনে খণ্ডকালীন চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের এক জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তারকৃতের নাম ইয়াসীর হিমেল। সোমবার দুপুরে এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এটিইউ বলছে, রবিবার এটিইউর একটি দল নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার সাউদপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াসীর হিমেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন, ১০ টি সিমকার্ড জব্দ করেছে।
এটিইউর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. আরাফাত হোসেন নামে প্রতারণার শিকার একজন ব্যক্তি গত ২৮ ডিসেম্বর ডিএমপি‘র রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন। রামপুরা থানার মামলা নম্বর ২২। ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড । মো. আরাফাত হোসেনের অভিযোগ মতে, ২৮ অক্টোবর বিকাল চারটার সময় তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে অনলাইনে খণ্ডকালীন চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি ক্ষুদেবার্তার্ (এসএমএস) পাঠানো হয়। অভিযোগকারী ওই অফারে সাড়া দিলে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা অভিযোগকারীকে প্রথমে গুগল ম্যাপ রিভিউ, অনলাইন ভোটিং সিস্টেম আপগ্রেডেশনের মত কিছু সহজ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার টাস্ক দেয়। টাস্কগুলো সম্পন্ন করার পর প্রতারক চক্রটি অভিযোগকারীর বিকাশ নম্বরে ৪৫০ টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে অভিযোগকারী মো. আরাফাত হোসেনকে একটি টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করা হয়। ২৯ অক্টোবর প্রতারকদের নির্দেশনা অনুসরণ করে তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে দুই হাজার টাকা পাঠানোর পর অভিযোগকারীকে বিকাশে দুই হাজার ৮০০ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়া হয়। এভাবে লভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে দুইধাপে আরো পাঁচ হাজার ও ১৮ হাজার টাকাসহ মোট ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযোগকারী পরবর্তীতে প্রদত্ত টাকার লভ্যাংশ চাইলে প্রতারকরা তাকে জানায়, লভ্যাংশসহ আগের টাকা ফেরত পেতে হলে তাকে আরো ৩৬ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। আগের দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় মো. আরাফাত হোসেন প্রতারক চক্রের দেয়া একটি ব্যাংক একাউন্ট নম্বরে আবারও কয়েক দফায় মোট এক লাখ ৪৯ হাজার টাকা পাঠালে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইয়াসীর হিমেল কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার পাঁচধা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
এনডিটিভিবিডি/০১ জানুয়ারি/এএ