নিজস্ব প্রতিবেদক:টানা চারবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন। সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বঙ্গভবনের আলোঝলমলে দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পত্নী রেবেকা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অফ-হোয়াইট শাড়ি পরা শেখ হাসিনাকে দরবার হলে আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণবন্ত দেখাচ্ছিল।
শেখ হাসিনা সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে দরবার হলে প্রবেশ করলে তাঁকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হয়। কয়েক মিনিট পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দরবার হলে প্রবেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে শপথ নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবন থেকে ফেরার পথে রাজউক অ্যাভিনিউ ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ মোড়ে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন।
কারা কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে
শপথ গ্রহণের পর রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় রয়েছে।
এনডিটিভিবিডি/১২জানুয়ারি/এএ