নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে
এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন
করবেন তারা।
শুক্রবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের
(বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নির্বাচন অবাধ,
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশে এক হাজার ১৫১
প্লাটুন বিজিবি দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ২০২৩ সালের
২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের নির্বাচনি
এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়া নির্বাচনের সুষ্ঠু
ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ও জানুয়ারি ৩ তারিখ থেকে
সশস্ত্র বাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আজ শুক্রবার থেকেই বর্ডার
গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। সবার আগে বিজিবি মোতায়েনের খবর এলো।
এ ব্যাপারে ইসির অতিরিক্ত
সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছিলেন, বিজিবি সবার আগে মাঠে নামবে। ভোটের পরে দুই দিন,
ভোটের দিন এবং ভোটের আগে ১০ দিন, মোট ১৩ দিনের জন্য এই বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
তবে প্রয়োজন হলে আরও বেশি দিন তাদের রাখা হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে গত ২১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে
একটি পরিপত্র জারি করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ভেটিং শেষে মন্ত্রণালয় এ পরিপত্র জারি
করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে-
পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার বাহিনী,
ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও কোস্টগার্ডকে বোঝায়। আর সশস্ত্র বাহিনী
বলতে নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী ও সেনা বাহিনীকে বোঝায়। গতবারের মতো এবারও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও। ২৯ ডিসেম্বর
একটি সমন্বয় সেল গঠন করে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী।
এক্ষেত্রে তাদের অগ্রবর্তী টিমও মাঠে নামবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে,
নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড
দুই হাজার ৩৫০ জন ও বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
(এনডিটিভি/২৯ডিসেম্বর/এনএস)