ঢাকা , শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদসহ গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তির দাবি

এপ্রিল ১৮, ২০২৫
বাংলাদেশ
শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদসহ গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তির দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদসহ রবিনাটক্সের গ্রেপ্তার করা শ্রমিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বারবার শ্রমিকরা নিপীড়িত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে এবং অপমানিত হয়েছে। আর এই বারবার বৈষম্যের শিকার হওয়ার ফলে কিন্তু শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনে নেমেছে। এবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হতো না যদি লাখ লাখ শ্রমিক রাজপথে না নামত। রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে এই আওয়ামী দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে কারা সেদিন রাজপথে নেমেছিল? সেদিন শুধুমাত্র শ্রমিকরাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত আইনের উৎস হচ্ছে ব্রিটিশ আইন। সেই ব্রিটিশ আইনে ছিল, রাত্রিবেলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কাউকে গ্রেপ্তার করার আগে সুনির্দিষ্ট  পরোয়ানা থাকতে হবে। এবং রাতের বেলায় নয় দিনে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সেলিম রহমানের স্ত্রী এখানে আছেন, সেদিন আইন রক্ষাকারী বাহিনী আইন ভঙ্গকারী বাহিনীতে পরিণত হলেন। সেদিন তারা রাতের বেলা গিয়ে বাড়ি দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেন। বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করল। আর এটা করার অধিকার তো কোনো আইনেই নাই। আপনারা আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন, সেখানে আপনারা আইন ভঙ্গ করলেন এবং শৃঙ্খলা নষ্ট করলেন। মানুষের মানবিক অধিকারকে বিপন্ন করলেন। 

রতন বলেন, সেলিম মাহমুদের যদি কোনো অপরাধ থাকত তাকে আপনারা গ্রেপ্তার করতে পারতেন। কিন্তু তার স্ত্রী এবং সন্তানের সামনে লাঞ্ছনা করলেন, এটা তো আপনারা করতে পারেন না। আর স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের কোনোভাবেই তো হয়রানি করতে পারেন না। আর এটা মানবাধিকারের কোনো ঘোষণার সঙ্গেই সংগতিপূর্ণ নয়। ফলে আজকে আপনারা মানবাধিকার ভঙ্গকারী বাহিনীতে পরিণত হয়েছেন। 

তিনি বলেন, আজকে বলতে চাই, সেলিম মাহমুদ আছে একটা চিত্র। আর এই চিত্রের মধ্যে দিয়ে এই শাসকগোষ্ঠীর রূপটা উন্মোচন হয়ে গেল। আজকে আবারও প্রমাণ হয়ে গেল, শাসক মালিকদের পক্ষে সবকিছু করতে পারে, কিন্তু শ্রমিকদের পক্ষে তারা কিছুই করবে না। 

বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সেলিম মাহমুদ এর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা বলে আইন দেওয়ার পরে এটা নিয়ে যেমন আমরা পুরো দেশে আন্দোলন গড়ে তুলব। পাশাপাশি আমরা আদালতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে ধরনের পদক্ষেপ নেব। এবং গোটা দুনিয়ার শ্রমজীবী মানুষের কাছেই বার্তা পৌঁছে যাবে। যে এত বড় অভ্যুত্থানের পরেও অভ্যুত্থানের বিজয়ী শক্তি যে জনগণ, সেই শক্তির উপরে আবার নতুন করে যারা দানবীয় আক্রমণ চালিয়ে যায় তারা অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে না। তারা অভ্যুত্থানকারী জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে না। তারা মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে এবং লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে।

সমাবেশে বাসদের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।