নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকা লেনদেনের কারণে আগের শত্রুতা ছিল মারিয়ার পরিবারের সাথে। ওই শত্রুতার কারণেই সাত বছরের শিশু মারিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এমন অভিযোগে এক পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. জুয়েল (৩৯)। সোমবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিসি আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান।

নিহত মারিয়া আক্তার শেরপুর জেলার নলবাইদ গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে। মারিয়া চান্দনা প্রতিভা মডেল একাডেমী স্কুলে নার্সারীতে পড়াশুনা করতো।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপির ডিসি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি  বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে  মারিয়া আক্তার বাসার উঠানে যায়। সন্ধ্যা অতিবাহিত হওয়ার পরও বাসায় ফিরে না আসায় ভুক্তভোগীর মা-বাবা আশেপাশের ভাড়াটিয়া বাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। পরের দিন রাত নয়টার দিকে তেলিপাড়া এলাকার হযরত আলী ড্রাইভারের মালিকানাধীন জমির ঝোপঝাড়ের ভিতর অজ্ঞাত নামা শিশুর লাশ দেখে লোকজন বাসন থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। আর ভুক্তভোগীর মা বাবা লাশটি তাদের মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মারিয়ার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান বলেন, পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভুক্তভোগীর পাশে বাসার ভাড়াটিয়া জুয়েলকে গতরাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জিএমপির ডিসি বলেন, টাকা লেনদেন নিয়ে আগে থেকে বিরোধকে কেন্দ্র করে জুয়েল কৌশলে মারিয়াকে তেলিপাড়া এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল  বরিশালের উলানিয়া গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি চান্দনা বৌ বাজারে হালিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) খায়রুল আলম, সহকারী কমিশনার (এসি) ফাহিম আসজাদ, বাসন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনডিটিভিবিডি/১৬জানুয়ারি/এএ