নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোট সামনে রেখে নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিবেচনায় দেশের ২৫টি জেলার ৭২টি উপজেলাকে ‘পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, এসব উপজেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য থাকবে। আর উপকূলীয় ৭ জেলার ১২টি আসনের ১৩ উপজেলায় কোস্ট গার্ড মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যোগাযোগে অসুবিধা ও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় নির্বাচনি সামগ্রী পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও এসব এলাকাকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পরিপত্র বৃহস্পতিবার জারি করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আর ভোটের দুইদিন আগে থেকে কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে নিরাপত্তা সদস্য। পরিপত্র অনুযায়ী দুর্গম এলাকাগুলো হচ্ছে, কুড়িগ্রামের রৌমারি ও রাজিবপুর; গাইবান্ধার ফুলছড়ি; বগুড়ার সারিয়াকান্দি; সিরাজগঞ্জের চৌহালী, সদর (আংশিক) ও কাজীপুর; বাগেরহাটের শরণখোলা; খুলনার দাকোপ ও কয়রা; বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলী; পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী; ভোলার মনপুরা; বরিশালের হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ; নেত্রকোণার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জ; কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী; জামালপুরের ইসলামপুর; মানিকগঞ্জের হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাশন; সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভপুর ও তাহেরপুর; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই; চাঁদপুরের হাইমচর; লক্ষ্মীপুরের রামগতি; নোয়াখালীর হাতিয়া; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ; খাগড়াছড়ির সদর, পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষীছড়ি ও দিঘীনালা; রাঙামাটির সদর, নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের সদর, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা ও লামা। পরিপত্রে বলা হয়, ভোটগ্রহণের দিন ও তার আগে-পরে পার্বত্য-দুর্গম অঞ্চলে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারের প্রয়োজন হবে। সেসব এলাকার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য এবং নির্বাচনি উপকরণ পাঠাতে ভোটের কয়েকদিন আগ থেকে ভোটের কয়েকদিন পর পর্যন্ত হেলিকপ্টার সেবা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সশস্ত্র বাহিনী।
এনডিটিভি/২৩ ডিসেম্বর