নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের যত সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগ তা কখনো ধারণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি বলেছেন, একাত্তরের ইতিহাসকে আওয়ামী লীগ পকেটেস্থ করতে চেয়েছে।
আজ (শনিবার) সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার ত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এগুলো আবারও ফিরিয়ে এনেছে। আগামী দিনে আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের যে তরুণ নেতৃত্ব তারা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জুলাই এবং আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তারা যতদিন পর্যন্ত আমাদের হৃদয়ে থাকবেন, ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এই একতাবদ্ধতাকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, সেই ষড়যন্ত্রকে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, একাত্তরে যারা বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলতে পারতেন, বাংলাদেশকে গড়তে পারতেন, তেমন পেশাজীবী আইনজীবী শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের এই সময়টাতে হত্যা করা হয়েছিল। আপনারা দেখে থাকবেন আমরা এমন একটা বছরে আছি, দুই হাজার তরুণ ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা সময়ে প্রত্যেকটা হত্যাযজ্ঞ... সবগুলোই করা হয় যারা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তাদের। সেই জায়গা থেকে ২৪-এর ১৪ ডিসেম্বর আমাদের আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। আমরা মনে করি আমাদের একটা দীর্ঘ লড়াই আছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী অঙ্গনে অনেকেই আছে যারা গোটা ১৫টা বছর ধরে এই ফ্যসিবাদের শাসনামলকে বৈধতা দিয়ে গেছে। আজকের বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষান করি।
এনডিটিভিবিডি/১৪ডিসেম্বর/এএ