ঢাকা , বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

আবু সাঈদ কি সত্যিই ফ্রান্সে চলে গিয়েছেন?

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
বাংলাদেশ
আবু সাঈদ কি সত্যিই ফ্রান্সে চলে গিয়েছেন?

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘আবু সাঈদ মারা যায়নি, ফ্রান্সে আছে। ড. ইউনূস তাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দিয়েছে’- সম্প্রতি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার বলছে, এই ভিডিওটি সঠিক নয়। 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। তাদের দাবি ভিডিওটি সত্য নয়।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি ‘আবু সাঈদ মারা যায়নি, ফ্রান্সে আছে। ড. ইউনূস তাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দিয়েছে’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং গোলাম মাওলা রনির ভিন্ন একটি মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে ‘আবু সাঈদ জীবিত গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেল Golam Maula Rony’ শীর্ষক বাক্য বসিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে গোলাম মাওলা রনির অস্পষ্ট এবং খণ্ডিত কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভিডিওতে দাবিটির পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। মূলধারার গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও গোলাম মাওলা রনির এ ধরনের মন্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, গোলাম মাওলা রনির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও আবু সাঈদকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্যের সন্ধান মেলেনি। বরং, গত ১৬ জুলাই তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আবু সাঈদকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ১৬ জুলাই গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন অনেক মানুষ, এতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।

 

এনডিটিভি/এলএ