মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপির) আরও পাঁচ সদস্য। তাদেরকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
তিনি জানান, বিজিপি সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদের সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে বেলা ১১টার দিকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল এবং তাদের পরনে ছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পোশাক ।
ইউএনও আরও বলেন, নৌকাটি নাফ নদের কিনারায় পৌঁছালে দেখতে পেয়ে বিজিবির সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় তারা (বিজিপি সদস্য) অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে তাদেরকে নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম বলেন, বিকাল ৫টার দিকে বিজিপি সদস্যদের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত তীব্র হতে শুরু করে। এর জের ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সবশেষ গত রবিবার নাফ নদের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলার যোগে বিজিপির ৮৮ জন সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তাদেরও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা সামরিক ও বেসামরিক ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ফেরত পাঠানো হয় বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে। এর আগে আশ্রয় নেওয়া ৩০০ জনকে ফেরত পাঠানো হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। তাদের মধ্যে বিজিপি, সেনাবাহিনী ও কাস্টমস কর্মকর্তা ছিলেন।
এনডিটিভি/পিআর