নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে সরকার পতনের মতো ঘটনা পাকিস্তানেও ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামি। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান জামায়াতের নেতা হাফিজ নাঈম-উর-রহমান এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অস্থিতিশীলতার মুখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।
দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সাথে তুলনা করেছেন জামায়াতের এই নেতা। তবে তার দল এই ধরনের বিশৃঙ্খলার প্রত্যাশা করে না জানিয়ে হাফিজ নাঈম-উর-রহমান বলেছেন, তারা জনগণের ইস্যুতে ক্ষমতাসীনকে সরকারকে জবাবদিহি করবে। জবাবদিহি করবেন তারা।
কোটা সংস্কার ঘিরে শিক্ষার্থী-জনতার কয়েক সপ্তাহের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের এই আন্দোলনের দাবানল ইতোমধ্যে প্রতিবেশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ ও পাকিস্তানেও ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলনে বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও অংশ নিয়েছে।
পাকিস্তানেও সরকারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনে ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান জামায়াতের নেতা হাফিজ নাঈম-উর-রহমান দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাথে দলটির সাম্প্রতিক চুক্তি সত্ত্বেও জামায়াত-ই-ইসলামি চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন নাঈম। জামায়াতের চাপের কারণেই দেশটির একটি প্রদেশে বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধিতে ফায়দা লুটছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিবার ও আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা (আইপিপি)। এসব পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভিবিডি/২৯আগস্ট/এএ