ঢাকা , রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

চাকরি হারিয়ে দিশেহারা ৫৮৯ কর্মকর্তা: এসআইবিএলের আকস্মিক সিদ্ধান্তের প্রভাব

নভেম্বর ০৯, ২০২৪
বাংলাদেশ
চাকরি হারিয়ে দিশেহারা ৫৮৯ কর্মকর্তা: এসআইবিএলের আকস্মিক সিদ্ধান্তের প্রভাব

মো: তানজিম হোসাইন,  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:  প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ও সনদ যাচাই ছাড়াই নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ৫৮৯ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)।এসব কর্মী চলতি বছর এস আলম গ্রুপের ‘বিশেষ কোটায়’ নিয়োগ পেয়েছিলেন। 

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর প্রায় ২ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা। অভিযোগ আছে, অনেকেই এস আলমের বাড়ির সামনে রাখা একটি চাকরির বক্সে সিভি জমা দিয়ে বিনা প্রতিযোগিতায় চাকরি পান।

ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, “ন্যূনতম যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই অনেক অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে বেশ কিছু শাখায় বসার জায়গাও মিলছে না।”

এদিকে চাকরিচ্যুত কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের বাড়ি চট্টগ্রামে হওয়ায় শুধু আমাদেরকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিটি পেয়ে আমরা সংসার চালাচ্ছিলাম। অনেকের আছে ছোট বাচ্চা, কারো আছে অসুস্থ বাবা-মা। আয়ের এই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এখন অন্ধকার দেখছি।”

চাকরিচ্যুত জয়নাল আবেদীন নামক এক কর্মী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “চাকরিটি পাওয়ার পর থেকে আমরা আশা করেছিলাম জীবনটা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হবে। কিন্তু হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত আমাদের পুরো পরিবারকে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সংসারের খরচ, শিশুদের লেখাপড়া, মা-বাবার চিকিৎসা সব কিছু কিভাবে চালাবো, সেটা এখন বড় প্রশ্ন।”

চাকরি হারানো অপর এক নারী কর্মী তানিয়া আকতার বলেন, “আমার  চাকরিই ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের প্রধান উৎস। এখন এভাবে চাকরি হারানোর পর বুঝতেই পারছি না সংসার কিভাবে চলবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পুনর্বহাল না করলে আমাদের সামনে আর কোনো উপায় থাকবে না।”

এসব নিয়োগের স্বচ্ছতা ও স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। কর্মীচ্যুতির সিদ্ধান্তটি তাদের জীবনযাত্রায় চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে, যেখানে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কোন সাহায্যও নেই।

 

এনডিটিভি/এলএ