নিজস্ব প্রতিবেদক : জনপ্রিয়তা বাড়লেও এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে সামান্য ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আমানত, ঋণ, হিসাব সংখ্যা এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০টি। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৫টি। অর্থাৎ তিন মাসে হিসাব বেড়েছে ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯০টি।
একই সময়ে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৮৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে যা দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৬৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
লেনদেনের দিক থেকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিন মাসে লেনদেন বেড়েছে ৫ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা মার্চ শেষে পৌঁছায় এক লাখ ৪১ হাজার ৫১ কোটি টাকায়।
ঋণ বিতরণেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তিন মাসে ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৩৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ১১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা মার্চ শেষে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৬৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে এক লাখ ৭ হাজার ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তিন মাসে বেড়েছে ৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
তবে এসব ইতিবাচক সূচকের বিপরীতে কিছু নেতিবাচক চিত্রও রয়েছে। তিন মাসে এজেন্টের সংখ্যা কমেছে ১৮১টি এবং আউটলেট কমেছে ২২৫টি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১৯টি, যা ২০২৫ সালের মার্চ শেষে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৮৩৮টিতে। একই সময়ে আউটলেটের সংখ্যা ২১ হাজার ২৪৮টি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৩টিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়েছিল। আজ সেটি একটি কার্যকর ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা শুধু সঞ্চয়ই নয়, ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন।
এনডিটিভিবিডি/১৩জুলাই/এএ