ঢাকা , রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

গাজায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
আন্তর্জাতিক
গাজায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টানেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করেছে। যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্যে তারা এমন দাবি করেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সেনা সদস্যরা গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় হামাসের একটি টানেল উন্মুক্ত করেছে এবং তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিস এবং রাফা শহর থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি।

এদিকে স্থানীয় সময় শনিবার গাজায় আরও ছয় জিম্মিকে মৃত উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবশেষে ইসরায়েলিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের উদ্ধারে ইসরায়েলি সরকারের ব্যর্থতার জের ধরে পুরো দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। হামাস সতর্ক করেছে যে যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মি লাশ হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারে।

হামাসের সঙ্গে এখনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি।

শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক ভাবেও বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সম্প্রতি ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবাহ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। এসব অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীণতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। প্রায় ১১ মাস ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। ইসরায়েলে আক্রমণের সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জীবিত বা মৃত অবস্থায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৯৭ জিম্মি আছেন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জিম্মির। সোমবার নতুন করে হাজার হাজার মানুষ সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। সে সময় জিম্মিদের জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের স্বজনরা।
এনডিটিভিবিডি/০৩সেপ্টেম্বর/এএ