পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্লাবিত এলাকা থেকে আটকে পড়া বোনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাই মো. শরিফুল ইসলামের (২৪)।
রবিবার বিকালে ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল অনন্ত পাড়া এলাকার আবদুর রহিম মিয়ার ছেলে।
এছাড়াও সাতক্ষীরাতেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কাউয়ার চর এলাকা ২-৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। ওই এলাকায় বসবাস করেন শরিফের ফুপু মাতোয়ারা বেগম। সেখানে তার বোনও ছিল। দুপুর ১২টার দিকে অনন্তপাড়া থেকে শরিফ তার বড় ভাই ও ফুফাকে নিয়ে বোন এবং ফুফুকে উদ্ধার করতে যান। সাঁতার কেটে তারা ফুফুর ঘরে যাওয়ার সময় ঢেউয়ের তোড়ে শরিফ হারিয়ে যান। পরে এক থেকে দেড় ঘণ্টা খোঁজার পর শরিফের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শওকাত মোড়ল নাপিতখালীর মৃত নরিম মোড়লের ছেলে।
নিহত শওকাত মোড়লের পুত্রবধূ আছমা খাতুন জানান, রবিবার রাতে তার শ্বশুর শওকাত মোড়ল ও তার শাশুড়ি নাপিতখালী আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মানুষ ছুটছে ।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অসুস্থ এক বৃদ্ধ মারা গেছে বলে শুনেছি।’
এনডিটিভি/পিআর