ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে জলোচ্ছ্বাস। রোববার (২৬ মে) দুপুরে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী বাজারসহ নিম্নাঞ্চল।
ওই বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন খান বলেন, হঠাৎ করেই পানির তীব্রতা বেড়েছে। আজ (রোববার) সাপ্তাহিক বাজারের দিন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সড়কে পানি ওঠায় দোকান বন্ধ করে মালামাল নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছি।
বাজারের সবজি বিক্রেতা বায়েজিদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা মহাবিপদ সংকেত দেখেছি কিন্তু হঠাৎ করে পানি বাড়তে দেখিনি।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম তারেক সুলতান বলেন, দুর্যোগ প্রস্তুতিতে মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শেখ নাদিরুজ্জান আকাশকে প্রধান করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৬টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় ছয়জন সদস্য নিয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলায় ৫১ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, রিমাল মোকাবিলায় জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে রিমাল।
এনডিটিভি/পিআর