ঢাকা , রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির আগ্রহ কোনোদিনই ছিল না: কাদের

মে ০৬, ২০২৪
রাজনীতি
গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির আগ্রহ কোনোদিনই ছিল না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির আগ্রহ কোনোদিনই ছিল না। দলটি ১৯৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।

সোমবার (০৬ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির আগ্রহ কোনদিনই ছিল না। মাগুরা মার্কা নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, হা না ভোটে ১১৪ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি- সবই বিএনপির সৃষ্টি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজটি করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন থেকে মুক্ত করে আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। ৮২টি সংশোধনী এনেছেন। আর বিএনপি কী করেছে?

পৃথিবীর কোন দেশেই গণতন্ত্র শতভাগ পারফেক্ট (নিখুঁত) নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরাও পারফেক্ট, এমন দাবি করি না। তবে গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা আমাদের রয়েছে। গণতন্ত্রকে ম্যাচুরিটি দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা অনেকই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি - এ নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নিবৃত্ত করার জন্য দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের আরও উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।  

দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, তাদের কোনো না কোনোভাবে শাস্তির মুখোমুখি হতেই হবে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ জন এমপি বাদ পড়েছেন। মন্ত্রিপরিষদে ২৫ জন নেই। সময়মতো শাস্তি হবে। এটি একটি উদাহরণ।

সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে, বিশেষ করে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করব।  

সেদিন সকালে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। সারা দেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে দেশের মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা হবে।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৬ মে দুপুরে অসচ্ছল-গরিব সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের অডিটোরিয়ামে। ব্যানার-ফেস্টুন, বিলবোর্ড আইল্যান্ড সজ্জিত করা হবে ১৭ তারিখে। আলোকসজ্জা কর্মসূচি থাকবে না।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী হীরক জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। থানা-উপজেলা ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়েও কর্মসূচি থাকবে।  
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে বিকেলে। নেত্রী, দলের নেতা, বুদ্ধিজীবী, সমমনস্ক ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবুজ ধরিত্রী কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আলোকসজ্জা বাদ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‍্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। ১১ মে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন আরও বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না এমন প্রশ্নে সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগে আমাদের সব অনুষ্ঠানেই বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি, এবারো বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে। অন্য রাজনৈতিক দলও পাবে।

এনডিটিভি/পিআর