জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের এক বর্ধিতসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এরশাদের নীতি-আদর্শ, তার চেতনা-প্রেরণা, তার ভাবমুর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্বকে যারা মুছে দিতে চায়, তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে পল্লীবন্ধুর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছেন। অথচ জাতীর পার্টির সাবেক চেয়ারম্যানের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি জায়গা পায়নি। এটা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীর মনে আঘাত দিয়েছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির নিবেদিত প্রাণ অনেক নেতা-যাদের ভোটে জয়লাভের সম্ভাবনা ছিল-এমন সব প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এসব জনপ্রিয় ও যোগ্য নেতা এবং অভিভাবকহীন অসংখ্য নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের বিপদে রেখে আমি নির্বাচনে যেতে পারি না।
জাপার সাবেক এ প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে পার্টিকে উদ্ধারের জন্য আপনারাই প্রথমে উদ্যোগ নিয়েছেন। দলের অগনিত নেতাকর্মীদের একান্ত দাবির মুখে আমি জাতীয় পার্টির চেয়াম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। আজ আপনারা আমার দায়িত্ব গ্রহণকে অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা যেভাবে চাইবেন-পার্টি সেভাবেই পরিচালিত হবে। আপনারাই জাতীয় পার্টির সব ক্ষমতার উৎস।
এ সময় তিনি বলেন, ৯ মার্চের সম্মেলন সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনের জন্য রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। আপনারা সকাল ১০টার মধ্যে প্রত্যেক কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের নিয়ে সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হবেন। ওই দিন আপনারাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন বলে মন্তব্য করেন রওশন এরশাদ।
রওশন এরশাদ বলেন, দ্রব্যমূল্য এখনই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আর রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা ওত পেতে বসে আছে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রধান কাজ হবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্য়ায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রওশন এরশাদ অনুসারী জাপার মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, গোলাম সারোয়ার মিলন, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, নুরুল ইসলাম মিলন, রফিকুল ইসলাম হাফিজ, এমএ গোফরান, ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা, কাশেম সরকার, নুরুল ইসলাম নুরু, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদা রহমান মুন্নী, খন্দকার মাহতাব উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, খোরশেদ আলম খুশু,ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, আব্দুল গাফফার বিশ্বাস, শংকর পাল, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের, আমিনা হাসান, মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান,শেখ মাসুকুর রহমান, এমএ সাত্তার, ও মিজানুর রহমান।