নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল।
সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের এক যৌথসভায় তিনি বলেন, নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য অনেক চক্রান্ত ছিল, কিন্তু তারা (চক্রান্তকারীরা) ব্যর্থ হয়েছে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল। কারণ, ইশতেহার দিয়ে ওয়াদা পূরণ করবে আওয়ামী লীগ, আর দেশের উন্নয়নও আওয়ামী লীগের হাতে।
নির্বাচন ঘিরে বিএনপি অনেক চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, সহিংসতার জন্য বিএনপিকে কোনো দলীয় উসকানি দেয়নি আওয়ামী লীগ, পুলিশও অনেক সহনশীল ও সংযত ছিল। তবু বিএনপি দেশের মধ্যে সহিংসতা করেছে। এখন তারা বিদেশি মুরুব্বিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে তারা এমন কর্মকাণ্ড আরও করতেই থাকবে।
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নিয়ে সবাইকে উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবারের উন্মুক্ত নির্বাচনে অনেক দলীয় প্রার্থীই হেরেছেন, কেউ কেউ জিতেছেন। হার-জিত যা-ই হোক সেটা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
নিজেরা নিজেদের দোষ ধরতে ব্যস্ত হলে বিরোধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে বলেও দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।
এসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজারে পণ্য থাকার পরও অনেকে কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। রমজানে মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খাদ্যের যেন দাম মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, সে ব্যবস্থা নেবো। মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে বলে কৃষিশ্রমিক পাওয়া যায় না দাবি করে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান এতো বেড়েছে যে, কৃষিকাজে শ্রমিক পাওয়াই দায়। একজন কৃষককে সারাদিন কাজ করাতে এখন তিন বেলা খাবার এবং ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হয়। সুতরাং, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন আমার পাশে আছে বলেই এতকিছু করা সম্ভব হচ্ছে। কারণ মানুষ কতটা সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগকে, তা বোঝা গেছে এবারের নির্বাচনে।
সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথসভা অংশ নেন।
এনডিটিভিবিডি/১৫জানুয়ারি/এএ