ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার মঙ্গলবার আশা প্রকাশ করে বলেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। এরআগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন,আগামী সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে তা রমজান মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
খবর এএফপি’র।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের ফলে গাজায় একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দেওয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ এবং যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে সাহায্যে পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানায়।
মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা এই ভয়াবহ যুদ্ধে প্রায় পাঁচমাস ধরে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আলোচকরা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি চাইছেন।
ইসরায়েলের হাতে বন্দি কয়েকশ’ ফিলিস্তিনিকেও এই চুক্তির আওতায় মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমি আশা করছি আগামী সোমবার নাগাদ আমরা যুদ্ধবিরতি পালনের একটি চুক্তি করতে পারবো। তবে আমরা এই সংক্রান্ত কাজ এখনো শেষ করতে পারিনি।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, সপ্তাহান্তে এই সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সাথে সাক্ষাত করেছেন। কাতার হচ্ছে হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বের আয়োজক দেশ এবং তারা গত নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি পালনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, ‘আমরা পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি পালনের চাপ দিতে যাচ্ছি।’ চন্দ্র মাস অনুযায়ী আগামী ১০ বা ১১ মার্চ থেকে রোজা শুরু হতে যাচ্ছে।