ঢাকা , বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

সাতক্ষীরার তিনবারের এমপি কাজী শামসুর রহমান ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৫
বাংলাদেশ
সাতক্ষীরার তিনবারের এমপি কাজী শামসুর রহমান ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কিংবদন্তী জামায়াতে ইসলামী নেতা কাজী শামসুর রহমানের ১৯তম মৃত্যু বাষিকী আজ সোমবার। ২০০৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি সকলকে শোক সাগরে ভাসিয়ে পরোলোক গমন করেন। ১৯৩৭ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর গ্রামে কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিরলস সমাজকর্মী, সফল সংগঠক, ইসলামী চিন্তাবিদ, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি, সাতক্ষীরা সদর আসনের তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন কাজী শামসুর রহমান। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সংসদের মসজিদে আজান ও নামাজের ব্যবস্থা, সাতক্ষীরায় আড়াই শ’ শয্যার হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, স্বল্প খরচে সমুদ্রপথে সহজ শর্তে হজ্ব করার ব্যবস্থা, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসা সরকারিকরণ, পতিতাবৃত্তি ব্যবস্থা রহিতকরণ, সেনা, পুলিশ ও বিডিআর বাহিনীতে নামাজ আদায়ের সময় নির্দিষ্টকরণ এবং তাদের পারিবারিক সুবিধাসংক্রান্ত প্রস্তাব সংসদে তিনি পেশ করেছিলেন। কাজী শামসুর রহমান কর্মময় জীবনে মানুষের কল্যাণে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—সাতক্ষীরা শহর ও গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাট তৈরি এবং আধুনিক যোগাযোগ সম্প্রসারণে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সরাসরি টেলিফোন ডায়ালিং ব্যবস্থার প্রবর্তন। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, মন্দির ও সেবা আশ্রমসহ নানা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন ও আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লীবিদ্যুৎ পৌঁছানো, কালিগঞ্জ ও আশাশুনি ব্রিজনির্মাণ এবং নাভারন থেকে সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে বিশাল হাইওয়ে নির্মাণের জন্য তার নেতৃত্বে জামায়াতের এমপিরা সংসদে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন।  

শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি স্কলারশিপ নিয়েই লেখাপড়া শেষ করেন। পিএন হাইস্কুল থেকে ১৯৫৪ সালে ম্যাট্রিক, সাতক্ষীরা কলেজ থেকে ১৯৫৯ সালে আইএ এবং ১৯৬১সালে বিএ পাস করেন। রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে বিএড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর থেকে ১৯৬৫ সালে এমএড ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সাতানি ভদড়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক, লাবসা জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, কালিগঞ্জ পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, সাতক্ষীরার পল্লীমঙ্গল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও নাইট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন বরেণ্য এই নেতা।