ডেস্ক রিপোর্ট: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে যে, শেখ হাসিনাকে এখনও প্রধানমন্ত্রী মানেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ দাবির ফ্যাক্ট চেক করেছে এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নামে ছড়িয়ে পড়া এ ধরনের দাবি সত্য নয়। তিনি এ ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি।
এএফপি জানিয়েছে, ‘শেখ হাসিনাকে এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ বলেছেন বলে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সয়লাব হয়ে গেছে। কিন্তু আদতে ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এমন কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, শেখ হাসিনা যেহেতু পদত্যাগ করেননি, তাই তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের এক সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। এএফপির প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ৯ নভেম্বর দেওয়া একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করেন ট্রাম্প। যারা বলেছিলেন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে তারা আমাকে পদত্যাগপত্রটি দেখান।
ফেসবুকে এ পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে। এতে পিবিডি পডকাস্টের উপস্থাপক প্যাট্রিক বেট-ডেভিডের সঙ্গে ট্রাম্পকে কথা বলতে দেখা যায়। ছবির ওপর বাংলায় লেখা হয়, ‘আমি মনে করি হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী : ট্রাম্প’।
এএফপি জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখেননি বলে মন্তব্য করার পর এ দাবি ছড়িয়ে পড়ে। অথচ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর সেদিনেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা দেন যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
সাক্ষাৎকারটি মার্কিন নির্বাচনের আগের
এএফপি জানিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর তিনি পিবিডি পডকাস্টকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশ বা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারটি নিয়ে এবিসি নিউজ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেও বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের কথা বলার কোনও প্রমাণ মেলেনি।