লাইফস্টাইল ডেস্ক: ৫ বছর বয়সী মিতুম। খেতে বললেই মোবাইলের অজুহাত দেখায় সে। কার্টুন দেখতে না দিলে কিছুতেই খাবে না। কেবল খাওয়া নয়, খেলাধুলা বলতেও সে বুঝে মোবাইলে গেমস খেলা। মোবাইলের প্রতি তার আসক্তি কিছুতেই কমছে না বরং দিন দিন বেড়েই চলছে।
কেবল মিতুম নয়, বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুই মোবাইলের প্রতি আসক্ত। এর প্রভাব পড়ছে তাদের চিন্তা-ভাবনায়। মা-বাবারা দুশ্চিন্তায় ভোগেন শিশুদের এমন অভ্যাস নিয়ে। আপনার সন্তানও কি মোবাইলে আসক্ত? তার আসক্তি ছাড়াতে কী করণীয় জানুন-
সন্তানকে সময় দিন
অভিভাবক পর্যাপ্ত সময় দেয়
না বলেই কিন্তু শিশুরা মোবাইলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। এই আসক্তি কমাতে সন্তানকে সময়
দিন। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় তার জন্য বরাদ্দ রাখুন। সেসময় তার সঙ্গে খেলুন, গল্প
করুন। শিশুর মনের কথা শুনুন। প্রয়োজনে গল্প পড়ে শোনাতে পারেন।
আরও পড়ুন- শিশু অতিরিক্ত
জেদ দেখালে কী করবেন?
মোবাইল থেকে শিশুর মন অন্যদিকে
সরাতে আপনাকেই উদ্যোগী হয়ে উঠতে হবে। ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বের করে তাকে নিয়ে বেড়াতে
যান, খেলতে নিয়ে যান।
আগ্রহের মূল্য দিন
অন্য কিছু করার থাকে না বলে
কিন্তু শিশু মোবাইলে আনন্দ খুঁজতে চেষ্টা করে। তাকে বয়সের উপযোগী কিছু বই কিনে দিতে
পারেন। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, ছবি আঁকা কিংবা অন্য কোনো খেলায় শিশুর আগ্রহ রয়েছে
কি না খেয়াল রাখুন। শিশুর আগ্রহের মূল্য দিন। তাকে বেশি বেশি উৎসাহ দিন।
শিশুর স্বভাব বদলাতে চাইলে
আগে নিজের স্বভাবে পরিবর্তন আনুন। আপনাকে সারাক্ষণ মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকতে দেখলে শিশুও
তাই করবে। তাই আগে নিজের আসক্তি দূর করুন। অফিস থেকে বাসায় ফিরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া
মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না।
সময় নির্ধারণ করে দিন
হুট করেই শিশুকে ফোন ব্যবহার
করতে দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা টানা যাবে না। এতে সে মানসিকভাবে আঘাত পেতে পারে। বরং ধীরে
ধীরে সময় নিয়ে কাজটি করুন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুকে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের
অনুমতি দিন।
কী দেখছে তাতে নজর দিন
শিশু স্মার্টফোনে কী দেখছে,
সে দিকেও নজর রাখুন। অনলাইনে ক্লাস করলে, ইন্টারনেটে আর কী করছে, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।
স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করুন। চেষ্টা করুন শিশু যেন ফোনে
তথ্যমূলক কিছুই দেখে।
প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা
বোঝান
প্রযুক্তির ভালো ও খারাপ
দিক দুটোই শিশুকে বোঝাতে চেষ্টা করুন। বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করুন। অতিরিক্ত
প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী বিপদ হতে পারে, তা সম্পর্কেও সতর্ক করে দিন।
শিশুর মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ
কমানোর দায়িত্ব অভিভাবক হিসেবে আপনাকেই নিতে হবে।
(এনডিটিভি/২৬ডিসেম্বর/এনএস)