নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহের ভূমিকা ছিল অনন্য। এই আন্দোলনে ৭৩ জন হাফেজ আলেম শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। সুতরাং আলেম-ওলামারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সবসময় সজাগ ছিলেন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার এই দেশের নয় বরং বিদেশি দালাল সরকার হিসেবেই শিক্ষানীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরে দেশ ও ধর্মবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, রক্তের সাগর পেরিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে যে অন্তর্র্বতী সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি, তাদের মধ্যেও শিক্ষানীতিতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিশ্বাস ও আদর্শকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিকতার ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে।
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য দেশের রাজনৈতিক মাঠ এখন যথেষ্ট উর্বর। দেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হয়েছে। আগামীতে তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ক্ষমতার ভার অর্পণ করতে চায়।
ঐক্যের ব্যাপারে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জন্ম থেকেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঐক্যকামী দল। আমাদের মরহুম আমির শায়খ সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) ঐক্যের ব্যাপারে অধীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে গিয়ে গিয়ে ঐক্য ও সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে গেছেন আমৃত্যূ। আমরাও সেই পথ ধরে ঐক্যের বার্তা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দের কারও কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন বা ঐক্যবিরোধী বার্তা পেয়ে থাকেন, আমরা তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা সবাইকে নিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায়ন করতে চাই ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমীন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনডিটিভিবিডি/২৮সেপ্টেম্বর/এএ