আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দু’দিন আগেই প্রাণঘাতী বন্দুকহামলা থেকে কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটু এদিক-ওদিক হলেই কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার বুলেটে প্রাণ যেতে পারতো তার। গত ১৩ জুলাইয়ের ওই হামলায় তার এক সমর্থক নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। তারপরেও বন্দুক আইন কঠোর করার ব্যাপারে ঘোরবিরোধী রিপাবলিকানরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির কনভেনশনে ১২ জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা কেউই অ্যাসল্ট রাইফেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা ব্যবহার সীমিত করার ব্যাপারে সায় দেননি। প্রত্যেকেই মার্কিন বন্দুক আইনের যেকোনো ধরনের সংস্কার আনার বিপক্ষে।
এমনকি, বন্দুক কেনার বৈধ বয়স বাড়ানো বা আবেদনকারীর অতীত কঠোরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ব্যাকগ্রাউন্ড চেক) মতো নমনীয় পদক্ষেপেরও বিরোধিতা করেছেন এসব রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
তারা বলেছেন, বন্দুক আইন সংস্কারের পরিবর্তে সমস্যাগ্রস্ত নাগরিকদের জন্য আরও ভালো মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার ওপর জোর দেওয়া উচিত। ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টাসহ যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের বন্দুক হামলা ও হত্যাযজ্ঞের পেছনে মানসিক অসুস্থতা এবং অস্ত্র ভুল হাতে পড়াকে দায়ী করেছেন রিপাবলিকানরা।
মন্টানার প্রতিনিধি উইল বুন বলেছেন, এর সবই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘটে। জনগণের বন্দুক রাখার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একবার লঙ্ঘন করা শুরু করলে আপনার অন্যান্য অধিকারও কেড়ে নেওয়া শুরু হবে।
গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গুলিতে ডান কান ফুটো হয়ে গেছে তার। এসময় প্রাণ হারান তার একজন সমর্থক, আহত হন আরও দুজন। ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হামলাকারী সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের গুলিতে নিহত হন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার পর নিঃসন্দেহে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাতে ভর করে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেতে পারেন ৭৮ বছর বয়সী এ নেতা।
এনডিটিভিবিডি/১৬জুলাই/এএ