গত বছর বায়ুদূষণে বাংলাদেশ ছিল শীর্ষে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদন ২০২৩’–এ এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বৈশ্বিক বায়ু মানের ষষ্ঠ বার্ষিক এ প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ, অঞ্চল এবং অঞ্চলগুলোর সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে।
বায়ুদূষণের অন্যতম উপাদান পিএম ২.৫ বা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপাদান ধরেই বায়ুর মান নির্ণয় করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। সেখানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ বেশি। ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের দূষিত বাতাসের দেশের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে ছিল। আর বাতাসে পিএম ২.৫–এর উপস্থিতি ছিল ৬৫ দশমিক ৮।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে ১৩৪টি দেশ, অঞ্চলের সাত হাজার ৮১২টি স্থানের ৩০ হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বায়ুদূষণে বাংলাদেশের পরই ছিল পাকিস্তানের অবস্থান। দেশটিতে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৪ গুণ বেশি। এরপর যথাক্রমে তাজিকিস্তান ও বুরকিনা ফাসোর অবস্থান।
২০২৩ সালে সবচেয়ে দূষিত আঞ্চলিক রাজধানী শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল নয়াদিল্লি। সেখানে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৯২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। এরপরই ঢাকার অবস্থান। ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৮০ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে উত্তর ভারতের বিহার রাজ্যের পাঁচ লাখ লোকের শহর বেগুসরাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। এ শহরে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ১১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ২৩ গুণ বেশি। এরপর রয়েছে আসামের গুয়াহাটি, দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুল্লানপুর।
১২৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে মোট ১২৪টিই (৯২ দশমিক ৫) ডব্লিউএইচওর বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড অতিক্রম করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।