নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৩০ জানুয়ারি সারাদেশে ‘উন্নয়ন সমাবেশ’ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। একই দিন বিএনপিরও মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে।
শনিবারে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শিান্তি সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে শনিবার বিকেলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও এক দফার দাবি আদায়ে ৩০ জানুয়ারি দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানায় এবং সব পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, সামনে আরো পাঁচ বছর। কবে হবে আন্দোলন বিএনপির, কোন বছর, কোন ঈদের পর। মানুষ বাঁচে কয় বছর। আন্দোলন করে ভুয়া হয়ে গেছে বিএনপি। জনগণ এসব ভুয়া আন্দোলন মানে না। অবরোধ মানে না। বিএনপির অবরোধ, হরতাল, এক দফা, সবই ভুয়া। বিএনপি মানেই ভুয়া।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ব্যর্থ হয়ে কালো পতাকা নিয়ে শোকের মিছিল করছে।
কাদের বলেন, বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১.৮ শতাংশ লোকের ভোটারের ভোটে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ দল অংশ নিয়েছে। চীন বা রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। তবে আমাদের বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা রাজনীতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও খেলা হবে। খেলা হবে হরতাল ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ৩০ তারিখ আবার বিএনপির কালো পতাকা মিছিল। সেদিন আপনারা লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোথায় অক্টোবরের ২৮ তারিখ? সময় ঠিক এরকম। কোথায় ছিলেন এতদিন গয়েশ্বর? বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাব না, কে পালিয়েছে? অলিগলি খুঁজে পাননি। এক দোকানে গিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমাকে খুঁজছে। সেই দোকানদার বলে আমিও আওয়ামী লীগ। যাবে কোথায়?
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে মিছিল সমাবেশে আসে নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচন বর্জনের দাবিতে সহিংসদ হরতাল-অবরোধ করেছে বিএনপি। নির্বাচনের পর এবার ‘অবৈধ ডামি সংসদ’ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
এনডিটিভিবিডি/২৭জানুয়ারি