নিজস্ব প্রতিবেদক : বিফলে গেলো তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিং। রবিবার দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ১৬৮.৫২ স্ট্রাইকরেটে হাফ ডজন ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে ৫৪ বলে ৯১ রানের উত্তাল ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
মূলতঃ তামিমের ওই ৯০ প্লাস ইনিংসটির ওপর ভর করেই চট্টগ্রাম পায় ১৮২ রানের লড়াকু পুঁজি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে স্কোর যথেষ্ঠ বলে প্রমাণ হয়নি।
চট্টগ্রামের সেই স্কোর ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গেছে বরিশাল। ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ বলে নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচে চট্টগ্রামের পেসার ফাহাদ হোসেনকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে সীমানার ওপারে পাঠিয়ে দেন বরিশালের মিডল অর্ডার সালমান হোসেন ইমন। আর ওই বাউন্ডারিতেই অবিস্মরনীয় জয় পায় বরিশাল।
শেষ বলে চার হাঁকিয়ে দল জেতানোই শুধু নয়, আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রীতিমত অসাধ্য সাধন করে বরিশালের জয়ের নায়ক হয়েছেন সালমান। শেষ ওভারে ৩টি ছক্কার পাশাপাশি ২ বাউন্ডারিসহ ২৭ রান তুলে নিয়ে অবিশ্বাস্য জয়ের রূপকার হয়ে শিরোনামে বরিশালের এই তরুণ।
৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে বরিশালকে দারুন জয় উপহার দিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৮৩ রানের টার্গেট সামনে রেখে বরিশাল শুরুতে পায় ওপেনার ইফতিখার হোসেন ইফতির ব্যাটের সহায়তা। ইফতি ৩৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে বরিশালকে শক্ত ভিত গড়ে দেন।
তারপর যা করার করেন ৪ নম্বরে মাঠে নামা সালমান হোসেন ইমন। তার মাত্র ২৮ বলে ৪ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংসে চট্টগ্রামের প্রায় নিশ্চিত জয় হয় হাতছাড়া।
ম্যাচের শেষ ওভারে বরিশালের জিততে দরকার ছিল ২৩ রানের। যেটা কার্যত প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে শেষ ওভারে ২৩ রান করে জেতার রেকর্ড খুব কম; কিন্তু আজ রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই প্রায় দুর্লভ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন সালমান।
ফাহাদের শেষ ওভারটি ছিল এরকম-
প্রথম বল ডট। দ্বিতীয় বল ডিপ পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা। তৃতীয় বল ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা। চতুর্থ বল ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে বাউন্ডারি। পঞ্চম বল নো, ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা, এই বলে মোট ৭ রান। পরের বল ডট। ষষ্ঠ ও শেষ বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি। সর্বমোট ২৭ রান।
চট্টগ্রাম: ১৮২/৭, ২০ ওভার (মাহমুদুল হাসান জয় ২২, তামিম ইকবাল ৯১, সাহাদাত হোসেন দিপু ৩, সাব্বির হোসেন ২১, ইয়াসির আলী ১২, মুমিনুল হক ১৩*, মেহেদি হাসান ৩/২৫, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মইনুল ইসলাম ও তানভির ইসলাম একটি করে উইকেট)।
বরিশাল: ১৮৫/৫, ২০ ওভার (মজিদ ১৯, ইফতেখার হোসেন ইফতি ৫৬, শামসুল ইসলাম অনিক ১২, সালমান হোসেন ইমন ৫৩*, সোহাগ গাজী ১২, মইন খান ২৬, আহমেদ শরীফ ২/২৭, ফাহাদ, ইরফান ও নাইম হাসান একটি করে উইকেট)।
ফল: বরিশাল ৫ উইকেটে জয়ী।
এনডিটিভিবিডি/১৫ডিসেম্বর/এএ