স্পোর্টস ডেস্ক: আর মাত্র ৫ দিন বাকি, এরপরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্ট দিয়ে ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে। শুধু তাই নয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নামক এ টুর্নামেন্টও আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ২০১৭ সালের পর।
দীর্ঘ ৮ বছর পর ৮ দলের এ টুর্নামেন্ট, তা নিয়ে ক্রিকেট প্রেমীদের আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। টুর্নামেন্টের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, তাদের আগ্রহের গ্রাফটাও ক্রমে ওপরের দিকে উঠছে। সে আগ্রহের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার মতো একটা খবর দিয়েছে আইসিসি। এবারের প্রতিযোগিতার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, এবারের টুর্নামেন্টের বিজয়ী (চ্যাম্পিয়ন) দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। রানার্স আপ দল পাবে ১.১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার কিছু বেশি।
টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠতে না পারলেও বড় অর্থই পাবে দলগুলো। পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম ও ষষ্ঠ হিসেবে শেষ করা দল দুটো পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে (প্রায় ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা)। এছাড়া সপ্তম ও অষ্টম হয়ে শেষ করা দল দুটি পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার কিছু বেশি) করে।
প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য ৩৪ হাজার ইউএস ডলার (৪১ লাখ টাকার বেশি) ঘোষণা করেছে আইসিসি। কোনো দল যদি একটা ম্যাচও না যেতে, তাদেরও খালি হাতে ফিরতে হবে না।
এর পাশাপাশি প্রতিটি দল শুধু আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়ার জন্য পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (১ কোটি ৫১ লাখ টাকা)।
অর্থাৎ, বাংলাদেশ যদি দু:স্বপ্নের টুর্নামেন্ট কাটায়, একটি ম্যাচও না জিতে আট দলের মধ্যে অষ্টম হয়েও টুর্নামেন্ট শেষ করে, তবুও শান্তরা পাবেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এবার সব মিলিয়ে মোট ৬.৯ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকারও বেশি।