নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত ১৪ নভেম্বর গঠণ করেছে অ্যাডহক কমিটি। নতুন কমিটির প্রথম আয়োজন হিসেবে সোমবার শুরু হচ্ছে বিজয় দিবস হকি প্রতিযোগিতা। ৬ দলের এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
বিজয় দিবস হকিতে অংশ নিয়ে থাকে ফেডারেশনের নিবন্ধিত দল। তবে যে ৬ দল নিয়ে ফেডারেশন ফিকশ্চার প্রকাশ করেছে সেখানে ষষ্ঠ দল হিসেবে আছে ‘হকি খেলোয়াড় কল্যাণ ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি দল। যে দলটি ফেডারেশনের নিবন্ধিত নয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল রিয়াজুল হাসান (অব.) বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আমরা সবাইকে চিঠি দিয়েছিলাম। লিগের দলগুলোর পাশাপাশি আমরা সার্ভিসেস দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সেখানে আমরা একটা বিষয় উল্লেখ করেছিলাম যে, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সব দলই এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে। সে হিসেবেই হকি খেলোয়াড় যারা আছেন তারা একটা দল গঠণ করেছেন। তারা এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।’
একটি অনিবন্ধিত দলকে কিসের ভিত্তিতে খেলার সুযোগ দিচ্ছেন? জবাবে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো খেলাটাকে চালু করা। খেলা যদি চালু করতে হয় অনেক কিছু ছাড় দিতে হবে, অনেক কিছু ট্রাই করতে হবে। আমাদের দল দরকার, আমাদের খেলোয়াড় দরকার। সার্ভিসেস ও পুলিশ দল যদি বাদ দেন তাহলে অন্য খেলোয়াড়রা এই কয়েক মাসে কি করতে পেরেছেন? অনূর্ধ্ব-২১ দল বিদেশে গিয়েছিল। তারা ভালো রেজাল্ট করেছে। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে। অন্যরা তো নিস্ক্রিয়। ছেলেদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে খেলা হবে, তোমরা এগিয়ে আসো।’
বিজয় দিবস হকিতে ৬ দল খেলবে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে। ‘ক’ গ্রুপে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে আছে বাংলাদেশ পুলিশ ও বিকেএসপি এবং ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাথে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও হকি খেলোয়াড় কল্যাণ ঐক্য পরিষদ।
সোমবার উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিপক্ষে খেলবে বিকেএসপি। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল খেলবে সেমিফাইনাল। ফাইনাল হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এনডিটিভিবিডি/২২ডিসেম্বর/এএ