ঢাকা , বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫

বিপিএলে তানজিদের সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে​​​​​​​ চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯২ রান

ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৪
খেলাধুলা
বিপিএলে তানজিদের সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে​​​​​​​ চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯২ রান

 

ওপেনার তানজিদ হাসানের প্রথম সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ৩৯তম ম্যাচে আজ প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯২ রান করে চট্টগ্রাম। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তানজিদ। 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় চট্টগ্রাম। ১ রান করে খুলনার স্পিনার নাসুম আহমেদের শিকার হন ওয়াসিম। 
শুরুতেই সতীর্থকে হারালেও  দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন আরেক ওপেনার তানজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত আলিকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রান যোগ করেন তিনি। জুটিতে ৩টি চারে ১৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারের শিকার হন সৈকত। 
সৈকতের সাথে হাফ-সেঞ্চুরির জুটির পর তৃতীয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুসের সাথে ৬১ বলে ১১০ রান তুলেন তানজিদ। এই জুটি গড়ার পথেই  ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরির পর টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নেন তানজিদ। এবারের বিপিএলে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করতে ৫৮ বল খেলেছেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে ৩২তম সেঞ্চুরি করলেন তানজিদ। 
১৯তম ওভারের প্রথম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওয়েন পারনেলের শিকার হওয়ার আগে ৮টি করে চার-ছক্কায় ৬৫ বলে ১১৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার তানজিদ। এই ইনিংস খেলার পথে চলতি বিপিএলে এ পর্যন্ত  ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। 
দলীয় ১৭০ রানে তানজিদ ফেরার পর শেষ ১১ বলে ২২ রান যোগ করতে পারে চট্টগ্রাম। ৪ উইকেটে ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। 
২টি চারে ৫ বলে ১০ রান করে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড। ২৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ব্রুস ৩৬ ও অধিনায়ক শুভাগত হোম ৩ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পারনেল-নাসুম-হোল্ডার ও মুকিদুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন। 
শিল্পকলা বিভাগে সংগীত ক্যাটাগরিতে জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যানী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) এবং শুভ্রদেব (সঙ্গীত) পদক পেয়েছেন। এছাড়া, নৃত্যকলা ক্যাটাগরিতে শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয় ক্যাটগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলা ক্যাটাগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটাগরিতে কাওসার চৌধুরী পদক লাভ করেন।
সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক ও রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরনোত্তর) এবং শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনাবোধি ভিক্ষু পদক পেয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং পুরস্কার প্রাপ্তদের সম্মাননা পত্র পাঠ করেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব খলিল আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম স্বাগত বক্তব্য দেন।