নেইমারকে বর্তমান ফুটবল বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে দেখেন ব্রাজিলের নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়র। তবে চোটে বাইরে থাকা এই তারকা ফরোয়ার্ডকে ছাড়াই তাদের এগিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
২০১০ সালে সান্তোসের দায়িত্বে থাকার সময়ে নেইমারকে শুরুর একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার পর চাকরি হারিয়েছিলেন দরিভাল। ভারপ্রাপ্ত কোচ ফের্নান্দো জিনিসকে বিদায় করে দেওয়ার পর সেই দরিভালকেই ব্রাজিলের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাঠে কঠিন সময় পার করছে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে ব্রাজিল। তিন ম্যাচে তারা হেরেছে, জিতেছে মাত্র দুটি। দরিভালের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে আগামী জুনের কোপা আমেরিকা।
৬১ বছর বয়সী দরিভালকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে চলে আসে নেইমারের প্রসঙ্গ।
“নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলের এগিয়ে যাওয়া শিখতে হবে, বুঝতে হবে সে চোটে আছে। তবে এটাও ঠিক, বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন আমাদের দলে এবং আমাদের সেই সুযোগটা নিতে হবে।”
গত অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে বাজেভাবে ফাউলের শিকার হয়ে বাম হাঁটুতে চোট পান নেইমার। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, তার এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে গেছে। দুই সপ্তাহ পর অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার হাঁটুতে।
আল হিলাল ফরোয়ার্ডকে কোপা আমেরিকায় পাওয়া যাবে না বলে গত মাসেই জানিয়ে দেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার।
নেইমারের সঙ্গে অতীতের ‘দ্বন্দ্ব’ তাদের জাতীয় দলে কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে কি-না, এমন প্রশ্নে দরিভাল বলেন, “নেইমারের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই।”
“(সান্তোসে) পরিস্থিতি আমাদের প্রত্যাশার বাইরে চলে গিয়েছিল। সান্তোস বোর্ড একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (দরিভালকে বরখাস্ত করার) এবং আমি সেটিকে সম্মান করেছি। এটুকুই। আমাদের কখনই কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা যতবারই দেখা করেছি, ততবারই পরিস্থিতি ইতিবাচক ছিল।”
“যত দিন সে লক্ষ্যে স্থির থাকবে, যখন সুস্থ হয়ে উঠবে, তাকে দলে ডাকা হবে।”
২০১০ সালে সান্তোসে দরিভালের কোচিংয়ে খেলতেন তখনকার ১৮ বছর বয়সী নেইমার। আতলেতিকো গোইয়ানিয়েন্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচে পেনাল্টি পাওয়ার পর তা নিতে যান নেইমার, কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেননি দরিভাল।
তখনকার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মাঠেই কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন নেইমার। পরে মাঠের বাইরেও কোচকে অপমান করেছিলেন তিনি।
পরের ম্যাচে নেইমারকে বাদ দেন দরিভাল। ব্রাজিলের উঠতি তারকাকে জরিমানাও করে সান্তোস। ক্লাব অবশ্য দ্রুতই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিল, কিন্তু দরিভাল এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করা হয়।