নিজস্ব প্রতিবেদক : একাই হাঁকালেন ৭ ছক্কা। ২৬ বলে করেন ফিফটি। কিন্তু খুশদিল শাহর এমন ব্যাটিং তাণ্ডবের পরও রংপুর রাইডার্সের পুঁজিটা বড় হলো না। বাকি ব্যাটাররা যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে থেমেছে রংপুরের ইনিংস। অর্থাৎ জিততে হলে ১৬৫ করতে হবে চিটাগং কিংসকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্সের শুরুটা ভালো ছিল না। বিনুরা ফার্নান্ডো-মারুফ মৃধাদের প্রথম দুই ওভারের সুইংয়ে রীতিমত ঘাম ঝরেছে রংপুরের দুই ওপেনার তৌফিক খান আর স্টিভেন টেলরের।
১৬ বলের ওপেনিং জুটিতে ওঠে মাত্র ৯ রান। তৃতীয় ওভারে বিস্ময় স্পিনার আলিস আল ইসলাম এসেই উইকেট তুলে নেন। ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন তৌফিক। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩১ রান তুলতে পারে রংপুর।
সাইফ হাসানকে নিয়ে একটি জুটিও গড়ে ফেলেন টেলর। কিন্তু সাইফ ১৮ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। আলিসের বলে এলবিডব্লিউ হলে রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি।
টানা তিন ওভারে ৬ রান তুলতে তিন উইকেট হারায় রংপুর। সাইফ ফেরার পরের ওভারে টেলর (৩২ বলে ৩৯) ফিরতি ক্যাচ দেন নাইম ইসলামকে। তার পরের ওভারে ইফতিখার আহমেদকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন আরেক স্পিনার আরাফাত সানি। ইফতিখার করেন ৫ বলে ৩।
সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও। ১০ বলে ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তবে খুশদিল শাহ ঠিকই ঝড় চালিয়ে গেছেন। ২৬ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন ছক্কা হাঁকিয়ে।
২৮ বলে ৭ ছক্কা আর ২ বাউন্ডারিতে ৫৯ রান করে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে চড়াও হয়ে বল আকাশে ভাসিয়ে দেন খুশদিল। ওয়াসিম নিজেই নেন ক্যাচ। ওই ওভারেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন খুশদিল।
শেষদিকে শেখ মেহেদী ১২ বলে করেন ১৭ রান। আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৬৪ রানে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম ২৮ রানে আর মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪২ রানে নেন দুটি করে উইকেট।
এনডিটিভিবিডি/১৭জানুয়ারি/এএ