অসন্তুষ্টির গুঞ্জন ঘিরে একটু আড়ালেই পড়ে ছিলেন মদ্রিচ। আলোচনা যা টুকটাক ছিল, তা মূলত তার । গত বেশ কিছুদিন ধরে সেরা একাদশে জায়গা বলতে গেলে একদমই পাচ্ছিলেন না মদ্রিচ। বদলি হিসেবেও খুব বেশি সময় মাঠে থাকার সুযোগ তার হচ্ছিল না। রোববার সেভিয়ার বিপক্ষেও তাকে ৭৫তম মিনিটে মাঠে নামান কোচ। 

মাঠে নামার মিনিট ছয়েক পরই বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক গোলায় বল জালে পাঠান ৩৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। ওই গোলই রেয়ালকে এনে দেয় তিন পয়েন্ট।

ক্যারিয়ারে আরও অনেকবারের মতো এবারও দলকে উদ্ধার করেন মদ্রিচ।এই জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরিই মদ্রিচকে দিলেন আনচেলত্তি। ম্যাচের পর রেয়াল মাদ্রিদের কোচ বললেন, এরকম একজন ফুটবলারকে বাইরে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্তটি তার জন্য খুবই কঠিন। 

“অসাধারণ একটি গোল করেছে সে, যেটি আমাদেরকে তিনটি মহামূল্য পয়েন্ট এনে দিয়েছে। সবাইকে সে দেখিয়ে দিয়েছে, তাকে একাদশের বাইরে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা আমার জন্য কতটা কঠিন। এটা শুধু তার আজকের গোলের জন্যই নয়, যেভাবে সে অনুশীলন করে, সেটাও বড় কারণ।”  

স্পেনের সংবাদমাধ্যমে গত কিছুদিনে খবর বেরিয়েছে, পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ না পেয়ে হতাশ ও অসন্তুষ্ট মদ্রিচ। তবে তার কিছুটা হতাশা থাকাটা অস্বাভাবিক মনে করেন না আনচেলত্তি।

চলতি মৌসুম শেষে মদ্রিচের সঙ্গে রেয়াল আর চুক্তি নবায়ন করবে না বলেও খবর হয়েছে স্পেনের সংবাদমাধ্যমে। ক্লাব তাকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিদায় দেবে, আনচেলত্তি তাকে কোচিং স্টাফে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন, এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে। মদ্রিচের চুক্তি নিয়ে কিছু আপাতত খোলাসা করলেন না আনচেলত্তি।