নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজার যেন লাগামহীন ঘোড়া। বারবার নিয়ন্ত্রণের কথা শোনালেও বাস্তব চিত্র পুরটাই উল্টো। চাল-ডাল,মশলাপাতি, মাছ-মাংস কিংবা সবজি কোনোটাই স্বস্তি মিলাতে পাচ্ছে না মানুষ।
বজার করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। বাজারে দরদাম করতে করতেই পার হয় ঘণ্টা। মিলাতে পারে না কাঙ্ক্ষিত বাজার।
দক্ষিন বাড্ডা বাজারে এসে কথা হয় পরিবার নিয়ে থাকা পিংজাহাটে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে চাকরি করা শরিফ ইসলামের সাথে।
শরিফ ইসলাম বলেন, স্ত্রী, একটি বাচ্চা এবং মা-বাবা নিয়ে আমাদের সংসার। মা-বাবা গ্রামে থাকে, মাঝে মাঝে এখানেও আসে।এই এলাকায় থাকি আজ পাঁচ বছর।
আমার বেতনে আগে সংসার ভালই চলতো। গ্রামে মা-বাবাকেও টাকা পাঠাতে পারতাম। কিন্তু আমারই মাস পার হয় টানাটানিতে।'
তিনি বলেন, 'ধরেন, মাছ মাংসের দাম বেশি হওয়ায় কিনলাম না। কিন্তু শাক-সবজি খেয়ে যে বেঁচে থাকব সে উপায়ও তো নেই! এখনও বাজারে মুলা ৩০-৪০ টাকা কেজি। যে মূলা মানুষ আগে খেতে চাইতো না। একটা লাউ ৭০-৮০ টাকা। এসব ভাবা যায়!'। আমাদের এই কষ্ট দেখার কেউ নেই।
বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালি ৩০০ টাকা কেজি, দেশি হাস ৬০০ টাকা পিস, রাজাহাস, আকার ভেদে ২০০০-৩৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে, দেশি মুরগির পিস ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া, মাছের বাজারও চড়াই আছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি ১৮০ টাকা, কই ২৪০, পাঙাস ১৮০, মৃগা ২৫০, রুই ৩৯০, পোমা ৩০০, পাবদা ৪০০, শিং ১০০০, ষোল ৭০০, কাতল ৫০০, চিংড়ি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোনো সবজিরই দাম কমেনি। উল্টো লাউ, শিম, মুলসহ অনেক কিছুরই দাম বেড়েছে। মুলা আগে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৬০-৭০ টাকা ছিলো আগে এখন ৮০ টাকা প্রতি পিস।
বাঁধাকপি পিস ৪০, ফুলকপি ৫০, টমেটো ৬০, শিম ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত দেখা গেছে , বেগুন ৮০, কাচামরিচ কেজি ৮০, মুলা ৪০, লাউ ৮০, পেপে ৪০, শালগম ৪০, ঢেড়স ১০০, করল্লা ৮০, গাজর ৪০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া পেয়াজের কেজি ৮০, আলু ৪৫, ডিমের ডজন ১৪০ টাকা
(এনডিটিভিবিডি/২৬জানুয়ারি/এসএন)