নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কানাডা থেকে পৃথক দুটি লটে ৮০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৬০ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে এই সার আমদানি করতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৩য় লটে ৪০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সারের মোট মূল্য ধরা হয়েছে ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার। পূর্বমূল্য ছিল ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার।
জানা গেছে, বিএডিসি কতৃক কানাডা থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে সিসিইএ সভার অনুমোদনের ফলে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়।
সার আমদানির চুক্তি অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে ৩য় লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার একই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪র্থ লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির আরও একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই সারের মূল্য ধরা হয়েছে ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার।
সভায় ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ১টি ১০ তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। তবে তা ফেরত পাঠিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এ বিষয়ে সচিব জানান, এই পূর্ত কাজের বিভিন্ন ব্যয় বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী নির্ধারণ করে আবার উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১টি ১০তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ২টি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এমবিপিএল এবং এটিসিএল নাম প্রস্তাব করলেও মন্ত্রিসভা কমিটি নতুন করে ব্যয় নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাবটি ফেরত পাঠিয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৪৮ কোটি ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৯১ টাকা।
এনডিটিভিবিডি/১১জুলাই/এএ