ঢাকা , রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

সিন্ডিকেট ভাঙছে, দাম কমছে: চট্টগ্রামে সবজির বাজারে নতুন পরিবর্তন

অক্টোবর ২৯, ২০২৪
বাংলাদেশ
সিন্ডিকেট ভাঙছে, দাম কমছে: চট্টগ্রামে সবজির বাজারে নতুন পরিবর্তন

মো: তানজিম হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:  সারাদেশে দ্রব্যমূল্য চড়া থাকলেও চট্টগ্রামে সবজির বাজারে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ফলে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বেশ কিছু সবজির দাম। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি, বেসরকারি উদ্যেগে ক্রয়মূল্যে বিক্রয় কর্মসূচী, টাস্কফোর্সের নিয়মিত বাজার তদারকি, ওএমএস কার্যক্রম এবং ছয়টি সেলস সেন্টারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান জানান, "টাস্কফোর্সের কার্যক্রম চলছে এবং সেলস সেন্টারগুলোতে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা আশা করছি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।"

নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, রাস্তার মাথা এবং অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বর্তমানে, বরবটি কেজি প্রতি ৭০ টাকা, শিম ১৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০ টাকা, মুলা ৪৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা, লাউ ২০-৩০ টাকা এবং পেঁপে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু পণ্যের দাম এখনও চড়া থাকলেও (পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা) বেশিরভাগ সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

বাজার তদারকির পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা উভয়েই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বহদ্দারহাটের এক সবজি বিক্রেতা রফিক বলেন, "আগে সবজির দাম বেশি ছিল, ক্রেতারা কিনতে এসে ফিরে যেত। এখন দাম কিছুটা কমেছে, তাই বিক্রিও বেড়েছে। এতে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার সুযোগ পাচ্ছে।"

এক ক্রেতা জানান, "গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম এখনও বেশি। কিন্তু বাজারের এই পরিবর্তন স্বস্তিদায়ক।"

চট্টগ্রামের বাজারে এই ধরনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ শুধু দ্রব্যমূল্য কমায়নি, বরং মানুষের আস্থা ও সচ্ছলতাও ফিরিয়ে এনেছে। জনস্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপগুলো যখন মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমাতে সফল হয়, তখন সাধারণ মানুষের জীবনেও স্বস্তি ফিরে আসে। সরকারের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে, আরও বড় পরিবর্তনের আশা করছেন সবাই।