আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমেরিকার কুখ্যাত নারী নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইনের একটি মামলার নথিতে এবার নাম এসেছে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের। গত শুক্রবার তৃতীয় ধাপে প্রকাশিত মামলার নথিপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে হিলারির নাম ছাড়া রয়েছে নারী নিপীড়নের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
এপস্টেইনের প্রেমিকা জিসলেন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মামলাটি করেছিলেন ভার্জিনিয়া জুফরে। ভার্জিনিয়ার অভিযোগ, যৌন ব্যবসার জন্য তাঁকেসহ কমবয়সী কয়েক নারীকে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এপস্টেইন ও ম্যাক্সওয়েল। সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি আদালত ওই মামলার নথি প্রকাশের অনুমতি দেন। এরপর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রথম দুই ধাপে নথি প্রকাশ করা হয়।
নথিতে এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর জবানবন্দি তুলে ধরা হয়েছে। নারী পাচার ব্যবসা চালাতে এপস্টেইনকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। আর ভার্জিনিয়াসহ আরেক অভিযোগকারী জোহাজা এসজোবার্গের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, কীভাবে এপস্টেইন ও ম্যাক্সওয়েল কিশোরীদের প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচার ব্যবসায় টানতেন।
নথিতে হিলারি ক্লিনটনকে ‘সুনির্দিষ্ট ১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর’ একজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভার্জিনিয়া জুফরে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। এর আগে প্রকাশিত নথিতে তাঁর স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের নাম এসেছিল। অভিযোগ তিনি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে সফরে গিয়েছিলেন। ক্যারিবীয় অঞ্চলে এপস্টেইনের ব্যক্তিগত দ্বীপও ভ্রমণ করেছিলেন।
কুখ্যাত এই যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় তিন ধাপে প্রকাশিত নথিতে আরও নাম রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রু, প্রয়াত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন, জাদুশিল্পী ডেভিড কপারফিল্ড, প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংসহ খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নাম।
এপস্টেইনের প্রেমিকা বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা খাটছেন। নারী পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালে তাঁকে এ সাজা দেওয়া হয়। অপর দিকে ২০১৯ সালে নারী পাচারের অভিযোগ ঘাড়ে নিয়ে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি কারাগারে আত্মহত্যা করেন এপস্টেইন।
এনডিটিভিবিডি/০৭জানুয়ারি/এএ