নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর আশায় উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা একটি সংশোধিত খসড়া পেয়েছি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) থেকে, যা পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। শুল্কহার কমানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
বাণিজ্যসচিব জানান, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য : বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ৮৩৬ কোটি মার্কিণ ডলারের পণ্য। বিপরীতে, আমদানি করেছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য।
ফ্রুট অব দ্য লুম, লেভাই স্ট্রস, ভিএফ করপোরেশনসহ (যার অন্তর্গত ভ্যানস, টিম্বারল্যান্ড, নর্থ ফেস) বহু মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। নতুন চিঠিতে তা কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবুও এটি বর্তমান ১৬ শতাংশ কটন শুল্কের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান একে ‘পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে শুল্ক ধার্য হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বাণিজ্যঘাটতি কমানোর উদ্যোগ : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বোয়িং প্লেন, গম, তুলা ও জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে পণ্য রপ্তানিতে ছাড় পাওয়া যায়। এই ঘাটতিকে ট্রাম্প শুল্ক আরোপের প্রধান যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই শুল্কহার থাকলে বাংলাদেশের বহু পোশাকশ্রমিকের চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য।
তার কথায়, বাংলাদেশকে এখনই মার্কিন আমদানিকারকদের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ, উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরু এবং বাংলাদেশি পণ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।
এনডিটিভিবিডি/০৮জুলাই/এএ