নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাজারগুলোতে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দামও কমছে। প্রথমদিকে নতুন আলু ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পুরোনো আলু। এক কেজি পুরোনো আলু ৭০ টাকার নিচে মিলছে না। তবে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় শিগগির দাম কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
নতুন আলুর পাশাপাশি বাজারে ভরপুর শীতের সবজি। ফলে দামও কিছুটা কমেছে। কিছুদিন আগে সবজির দামে যে অস্বাভাবিক অস্বস্তি ছিল, তা এখন কিছুটা হলেও কমেছে। তবে সবজির বাজারে এখনো পুরোপুরি স্বস্তি ফেরেনি। এখন বেশ কয়েকটি সবজির কেজি ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পুরোনো আলু থেকে নতুন আলুর সরবরাহ বেশি। ব্যবসায়ীরা ছোট নতুন আলু ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। তবে বাছাই করা নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। আর অল্প পরিসরে থাকা পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজি।
হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. মনির বলেন, বাজারে এখন পুরোনো আলু খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কম থাকায় কিছুদিন আগে এক কেজি পুরোনো আলু ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আর নতুন আলু যখন উঠতে শুরু করে সেই সময় নতুন আলু ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এখন বাজারে প্রচুর নতুন আলু আসছে। এ কারণে দামও কমেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন আলু ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তবে বাছাই করা নতুন আলু ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আর পুরোনো আলু বিক্রি করছি ৭০ টাকা কেজি। ক্রেতারা নতুন আলু বেশি কিনছে।
নতুন আলু থেকে পুরোনো আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে পুরোনো আলু খুব কম রয়েছে। কিছু ক্রেতা পুরোনো আলু পছন্দ করেন। আবার নতুন আলুর স্বাদ এক রকম এবং পুরোনো আলুর স্বাদ আরেক রকম। মূলত সরবরাহ কম থাকায় নতুন আলু থেকে পুরোনো আলুর দাম একটু বেশি।
খিলগাঁওয়ে নতুন আলু ৭০ টাকা এবং পুরোনো আলু ৭৫ টাকা বিক্রি করা জয়নাল হোসেন বলেন, বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ অনেক বেড়েছে। এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি করা নতুন আলু এখন ৭০ টাকা বিক্রি করছি। ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি করা পুরোনো আলু ৭৫ টাকা বিক্রি করছি। কিছুদিনের মধ্যে আলুর দাম আরও কমে যাবে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটোর কেজি এখনো ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। কিছুদিন আগে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আসা গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। বরবটি, করলার কেজিও বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।
তবে কিছুদিন আগে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন ৪০-৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে শালগম। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। আকারভেদে একটি ফুল ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।
কিছু কিছু সবজির দাম কমলেও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত শুক্রবার ১৭৫-১৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এখন ১৮৫-১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০০ টাকা। যা গত শুক্রবার ছিল ২৭০-২৯০ টাকা। মুরগির দাম বাড়লেও ডিম কিছুটা কমেছে ১৪৫-১৫০ টাকা বিক্রি হওয়া ডিমের ডজন এখন ১৪০ টাকা হয়েছে।
বাজারে পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। মাসখানেক আগে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ১০০-১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। মাসখানেক আগে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল।
এনডিটিভিবিডি/১৬ডিসেম্বর/এএ