নিজস্ব প্রতিবেদক : পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে টানা বর্ষণে অন্তত ছয়জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ওকারায়—৭২ মিলিমিটার। এছাড়া সাহিওয়াল ৬৬ মিলিমিটার, ডেরা গাজি খান ৫১ মিলিমিটার, মিয়ানওয়ালি ৩৮ মিলিমিটার, বাহাওয়ালপুর ৩৬ মিলিমিটার, কোট আড্ডু ৩৩ মিলিমিটার, গুজরানওয়ালা ৩০ মিলিমিটার, লেয়াহ ২৩ মিলিমিটার, এবং মুর্রিতে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি, আটক, শিয়ালকোট, ফয়সালাবাদ, টোবা টেক সিং, রাহিম ইয়ার খান, মুলতান, লোধরানেও বৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ওকারার হাভেলি লাক্কা এলাকায় বজ্রাঘাতে দুই কৃষক নিহত হন। জেলায় বৃষ্টিজনিত ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। বাহাওয়ালনগরে মিনচিনাবাদের একটি মাদ্রাসার ছাদ ধসে দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং ১২ জন আহত হন। সাহিওয়ালের দুটি গ্রামে ছাদ ধসে এক ব্যক্তি নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। কাসুরের নাটোওয়ালা গ্রামে ভারী বৃষ্টিতে ঘরের ছাদ ধসে একজন নারী নিহত এবং তার স্বামী ও ছেলে আহত হন। টোবা টেক সিংয়ে ছাদ ধসের ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) জানিয়েছে, পাঞ্জাবে তৃতীয় দফার বর্ষণ চলবে ১৪ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, মুর্রি, গালিয়াত, লাহোর, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, ডেরা গাজি খান, মুলতান, মিয়ানওয়ালি, বাহাওয়ালপুর, রাহিম ইয়ার খানসহ বেশিরভাগ জেলাতেই বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও অতিভারী বা চরম বর্ষণেরও আশঙ্কা রয়েছে।
পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা-র মহাপরিচালক ইরফান আলী কাথিয়া জানান, বর্তমানে সিন্ধু নদীর টাউসা অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার বন্যা চলছে। তবে চেনাব, রাভি, ঝেলাম ও শতলুজ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। রাজনপুরের পাহাড়ি ঝরণাগুলোর পানিপ্রবাহও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে।
তিনি বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকায় জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভিবিডি/১৫জুলাই/এএ