ডেস্ক রিপোর্ট: আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি—এই শহীদরা না থাকলে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস, আজ আপনি জেলে থাকতেন।”
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত শহীদি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আগামী দিনে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি করবে না, সে সিদ্ধান্ত নেবে ১৪০০ শহীদ পরিবার। কোনো সুশীল উপদেষ্টার কথায়, কোনো শাশুড়ির কথায় বা দিল্লির কথায় সেই সিদ্ধান্ত হবে না।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিরা গণতদন্ত কমিশনে গিয়ে উন্মুক্ত শুনানিতে অংশ নেবে। বাংলাদেশের কোটি কোটি নাগরিক সেখানে নিবন্ধন করে তাদের মতামত দিতে পারবে। সেই মতামতের ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ, গণহত্যার দায়, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোট ও দিল্লির অনুগতদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
এই প্রস্তাব দেওয়ার সাত-আট মাস পেরিয়ে গেলেও জুলাই গণহত্যা নিয়ে কোথাও কোনো উচ্চবাচ্য করতে দেখা যাচ্ছে না। আমরা আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গণকবরগুলো পরিদর্শন করেছি, কিন্তু সেখানে কোনো উপদেষ্টার উপস্থিতি লক্ষ্য করিনি। অথচ অনেক উপদেষ্টা দেখেছি, যারা ১৯৭১-এর চেতনা বিক্রি করতে করতে ১৪ ডিসেম্বরের শহীদদের কবর জিয়ারত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন। কিন্তু রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জুলাইয়ের ১১৪ শহীদের কবর জিয়ারত করার সময় তাদের হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি—এই শহীদরা না থাকলে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস, আজ আপনি জেলে থাকতেন। ছয়তলা ভবনে লিফট ছাড়া, বিদ্যুৎ ছাড়া হাসিনা আপনাকে ওঠ-বস করাতো। সেই দিনের কথা ভুলে যাবেন না। আজ আপনার মামলাগুলো আদালত থেকে খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু এই খারিজের রাজনীতি হতো না, আপনার মামলা চলতো। যাদের রক্তের বিনিময়ে আপনি বেকসুর খালাস হয়েছেন, যাদের রক্তের কারণে আপনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন—তাদের রক্তের ঋণ ভুলে গেলে আগামী প্রজন্ম আপনাকে ক্ষমা করবে না।”